Untold Love(Part-1)



ভালোবাসা খুবই অদ্ভুত একটা জিনিস।এটা কখন যে কার প্রতি জন্মায় কেউ জানেনা।ঠিক তেমনই একটা গল্প আজ বলতে যাচ্ছি। মনযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি ভালো লাগবে।

ছেলেটি মেয়েটিকে অনেক বেশি ভালোবাসে। এর কারন হলো এই প্রথম ছেলেটির কাছে কোনো মেয়েকে এতো ভালো লাগলো। ছেলেটি খুবই ভদ্র এবং লাজুক প্রকৃতির। ছেলেটি কখনো কোনো মেয়ের দিকে তাকায় নি, কথা বলাতো দূরের কথা। কিন্তু এই মেয়েটিকে দেখার পর আস্তে আস্তে ছেলেটির মনে তার প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত হয়ে ওঠে। যাহোক ছেলেটির নাম আকাশ আর মেয়েটির নাম বর্ষা। আকাশ খুবই নম্র-ভদ্র স্বভাবের। সে পড়ালেখায়ও মনোযোগী। অন্য দিকে বর্ষাও খুবই শান্তশিষ্ট স্বভাবের। সে ছেলেদের সাথে খুব একটা মিশে না, কথা বলে না। বর্ষা খুবই মিষ্টি একটা মেয়ে। বর্ষার সাথে আকাশের পরিচয় অনার্স প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার সময়। যদিও তারা একই ডিপার্টমেন্ট এর স্টুডেন্ট তারপরও তাদের মধ্যে কখনো কোনো কথাবার্তা হয় নি। আর আকাশ বর্ষাকে ভালো করে চিনতোও না। যাহোক আস্তে আস্তে তাদের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলে এলো।
Exam hall এ আকাশের সামনের সীটে বসে একটি মেয়ে পরীক্ষা দেয়। সে আর কেউ নয় সে হলো বর্ষা। আকাশ যদিও খুব একটা মেধাবী ছাত্র নয় তারপরও ডিপার্টমেন্টের সেরা 10 জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে সে ও একজন। তাই আকাশ বর্ষাকে যতটুকু পারা যায় পরীক্ষার কক্ষে সাহায্য করে। আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে একটু একটু যোগাযোগের সৃষ্টি হয় অনলাইনে। আকাশ পরীক্ষা শেষ করে বাসায় ফিরতে রাত হয়ে যায়। বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফেজবুক খুললেই দেখতে পায় বর্ষার ম্যাসেজ। আকাশ বাসায় গেছে কি না? খাওয়া দাওয়া হয়েছে কি না? এসব জানতে চায়। এমনটা প্রায় প্রতি পরীক্ষার দিনই হতে থাকে। বর্ষার এতো কেয়ারিং দেখে এবং তার সাথে ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটিং করতে করতে বর্ষাকে আকাশের ভালো লেগে যায়। আস্তে আস্তে সেই ভালো লাগাটা ভালো বাসায় পরিণত হয়।

এরই মাঝে আকাশ - বর্ষার অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। অনেকদিন তাদের দেখা সাক্ষাৎ হয় না। কিন্তু অনলাইনে কিছুটা যোগাযোগ হয়। আকাশ সারাক্ষণ শুধু বর্ষাকে নিয়ে ভাবে। বর্ষাকে দেখার জন্য আকাশের মনটা বেকুল হয়ে ওঠে। প্রায় 2 মাস পর আবার তাদের দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাশ শুরু হয়ে যায়। অনেকদিন পর আবার আকাশ তার ভালোবাসার মানুষটিকে দেখতে পাচ্ছে। তার মন যেনো খুশিতে উড়তেছে। আগেই বলেছিলাম আকাশ খুবই লাজুক প্রকৃতির ছেলে। তাই সে বর্ষাকে দেখলেও তার সাথে কথা বলে না লজ্জায়। একদিন ম্যাসেঞ্জারে বর্ষা আকাশ কে বলে - আপনি এখানে তো ভালোই কথা বলতে পারেন কিন্তু সামনে গেলে তো কথাই বলেন না এমনভাবে থাকেন মনেহয় আমাকে চিনেনই না। তখন আকাশ বলে আমার কথা বলতে লজ্জা লাগে তাই বলি না। কিন্তু কলেজে গেলে আকাশ ঠিকই লুকিয়ে লুকিয়ে বর্ষাকে দেখে। বর্ষা যদি কোথাও যায় আকাশ দূর থেকে তাকে দেখে। এভাবেই চলতে থাকে বর্ষার প্রতি আকাশের ভালোবাসা। আকাশ যদিও বর্ষাকে ভালোবাসে কিন্তু বর্ষা তা জানেনা। কারন আকাশ কখনো তার সামনে গিয়ে মুখ ফুটে বলতে পারেনি সে তাকে ভালোবাসে।

প্রথম বর্ষে থাকতে আকাশ- বর্ষা দু'জনই আলাদা শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তো। কিন্তু দ্বিতীয় বর্ষে 2 জনই একই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়া শুরু করে।এতে করে দু'জন আরো কাছাকাছি হয়। এতে আকাশের লাজুকতা কিছুটা হলেও কমতে থাকে। প্রাইভেটে কোনো পড়া যদি বর্ষার বুঝতে কষ্ট হয় আকাশ পরবর্তীতে সেটা তাকে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এরই মধ্যে একদিন প্রাইভেটে যাওয়ার পর আকাশ তার একজন সহপাঠী (মেয়ে) থেকে বর্ষার মোবাইল নাম্বারটি নেয়। ঐদিন বিকালেই আকাশ বর্ষার নাম্বারে একটা ম্যাসেজ দেয়। অপরিচিত নাম্বার দেখে বর্ষা সন্ধ্যায় অন্য একটি নাম্বার দিয়ে আকাশের নাম্বারে ফোন দেয়। আকাশ ফোন রিসিভ করে কথা বললে বর্ষা বুঝে যায় এটা আকাশ। আকাশ প্রথমে অবাক হয়ে যায় মেয়ে কন্ঠ শুনে। কিন্তু পরবর্তীতে যখন বুঝতে পারে এটা বর্ষা তখন আকাশ বর্ষাকে Call back করে। এই প্রথম বারের মতো তাদের মধ্যে মোবাইলে কয়েক মিনিট কথা হয়। আকাশ সব সময়ই বর্ষার সাথে কথা বলতে চায়। সে সারাক্ষণ বর্ষাকে নিয়ে ভাবে। সবসময়ই আকাশের Mobile data on করা থাকে । কারন আকাশ বর্ষার একটা ম্যাসেজের অপেক্ষায় থাকে সারাক্ষণ। হঠাৎ যদি বর্ষা ম্যাসেজ করে (ম্যাসেঞ্জারে) আকাশের মনটা খুশিতে ভরে ওঠে। আস্তে আস্তে আকাশ ও বর্ষার মধ্যে একটা বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আকাশ কয়েকদিন পর পরই বর্ষাকে ফোন দেয় তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। আর তাছাড়া প্রাইভেট এবং ক্লাশে তো প্রতিদিনই দেখা হয়। যদিও আকাশ এখন বর্ষার সাথে সবসময়ই কথা বলে তারপরও সে মুখ ফুটে বর্ষাকে বলতে পারে না "আমি তোমাকে ভালোবাসি" । এরই মাঝে সামনে চলে আসে Valentine Day.


@ সাথেই থাকুন ২য় পর্ব শিঘ্রই আসছে, ,,,, ধন্যবাদ।

Comments