সময়মতো বিয়ে করার উপকারিতা


বিবাহ হলো এমন একটি মাধ্যম যার দ্বারা দু'টো অপরিচিত মানুষকে একত্রিত করা হয়।নারী-পুরুষের যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য বৈধ পন্থা হলো বিয়ে।আর বিবাহ এমন একটি মাধ্যম যেটা মানুষকে খারাপ কাজ করা থেকে বিরত রাখে।এজন্য অবশ্যই সময়মতো বিয়ে করতে হবে।কেননা সময়মতো বিয়ে করার অনেক উপকারিতা রয়েছে।

বিবাহের মাধ্যমেই মূলত একজন নারী ও পুরুষ একই ছাদের নিচে বসবাস করার বৈধতা লাভ করে।বিবাহের মাধ্যমেই মূলত সমাজ থেকে যেনা-ব্যবিচার দূর করা সম্ভব।বিবাহ একটি সামাজিক রীতিনীতি।যেহেতু আমরা মানুষ হয়ে জন্মেছি সেহেতু আমাদেরকে একদিন না একদিন বিয়ে করতেই হবে।তবে বিলম্ব না করে সময়মতো বিয়ে করাটাই উত্তম।বর্তমানে সমাজে অহরহ যেনা ব্যবিচার বেড়েই চলছে শুধু মাত্র সময়মতো বিবাহ না করার কারনে।বর্তমানে গার্লফ্রেন্ড -বয়ফ্রেন্ড সম্পর্কে দেশটা ভরে গেছে।ছেলে মেয়েদের অবাধ মেলামেশার ফলে সমাজে দিন দিন অপকর্ম বেড়েই চলেছে।নিজেকে এসব অপকর্ম থেকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই সঠিক সময়ে বিয়ে করতে হবে।চাকুরি নেই বিয়ে করে বউকে খাওয়াবো কি? এসব চিন্তা ভাবনা করে সময় অতিবাহিত করার দরকার নেই।কেননা রিযিকের মালিক আল্লাহ তায়ালা তিনি এ পৃথিবীতে যত প্রাণী আছে কাউকেই না খাইয়ে রাখেননা।যে আল্লাহ আপনাকে খাওয়াচ্ছেন সেই আল্লাহই আপনার স্ত্রীর রিযিকের ব্যবস্হা করবেন।তবে আপনাকে রিযিকের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।কেননা ঘরে বসে শুধু আল্লাহ আল্লাহ করলেই রিযিক আপনার কাছে আসবেনা।

সময়মতো বিয়ে করার আরেকটি উপকারিতা হলো এতে অনেক সময় দাম্পত্য জীবনযাপন করা যায়। বাংলাদেশের মানুষের জন প্রতি গড় আয়ু 60-70 বছর। আপনি যদি বিয়ে করতে করতেই 30/35 বছর কাটিয়ে ফেলেন তাহলে আপনার বিয়ে করারই দরকার নেই।এজন্য অবশ্যই সময়মতো বিয়ে করার চেষ্টা করতে হবে।সঠিক সময়ে বিয়ে করার ব্যাপক উপকারিতা রয়েছে। মানুষের চৌন চাহিদা হচ্ছে ক্ষুধার মতো। ক্ষুধা লাগলে যেমন মানুষ খাবারের জন্য পাগল হয়ে যায় তেমনি যৌন উত্তেজনা বেড়ে গেলেও মানুষ পাগলের মতো হয়ে যায় তখন যেকোনো খারাপ কাজ করতে আমাদের বিবেকে বাঁধে না।তখন মানুষ যেনার মতো জঘন্য কাজও করে ফেলে।এজন্য নিজেকে এসব খারাপ কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই সময়মতো বিয়ে করতে হবে।

একজন অপরিচিত  নারী ও পুরুষ একই বিছানায় শোয়া একই বাসায় থাকা এবং একই টেবিলে বসে খাওয়া-দাওয়া করা এসব কিছুই সম্ভব হয় বিবাহের কারনে।বিবাহই হলো একমাত্র মাধ্যম যেটা দু'জন অপরিচিত মানুষকে একত্রিত করে এবং তাদের মধ্যে এমন একটি সম্পর্কের সৃষ্টি করে যার ফলে দু'জন দু'জনের জন্য জীবন দিতে পর্যন্ত প্রস্তুত থাকে।যেনার মতো অপকর্ম এবং গার্লফ্রেন্ড -বয়ফ্রেন্ডে নামক হারাম সম্পর্ক  থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই সময়মতো বিয়ে করতে হবে।তাই বাবা মায়ের উচিত সন্তানদের উপযুক্ত বয়স হলে তাদের বিয়ের ব্যবস্হা করা।কেননা সন্তান যদি কোনো অপকর্ম করে এজন্য বাবা মা ও দায়ী থাকবে। রাসূল (সঃ) বলেছেন, " বিবাহ আমার সুন্নাত, যে আমার সুন্নাতকে অস্বীকার করবে সে আমার দলভুক্ত নয়"।কাজেই আমাদের সবারই উচিত বিয়ে করা এবং সময়মতো বিয়ে করা যদি শারীরিক কোনো সমস্যা না থাকে।

Comments