২য় পর্ব
মেয়েদের বিয়ের বয়স হলে সব বাবা মা-ই চায় ভালো একটি ছেলে দেখে তাদের মেয়েটিকে বিয়ে দিতে।মৌর বেলায়ও ব্যতিক্রম না।কিন্তু সে মাহিনকে ছাড়া কিছুই বুঝে না।সে শুধু মাহিনেরই হতে চায়।সে মাহিনকে বিয়ের কথা বললে মাহিনের একটাই কথা-একটা চাকুরী না হতে তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব না। কিন্তু সে বুঝতে চায় না যে একটা মেয়ের উপযুক্ত সময় হলে তার পক্ষে বিয়ে না করে থাকাটা অনেক প্যারার। কেননা বাসায় বাবা মা একের পর এক বিয়ের জন্য চাপ দিতেই থাকে। কতোবার সামাল দেয়া যায়। মাহিন চাকুরী ছাড়া কিছুই বুঝে না। সে আগে চাকুরী করবে তারপর বিয়ে করবে। অথচ মৌ এতেও রাজি যে এখন গোপনে বিয়েটা করে রাখুক চাকুরী হলে না হয় পরবর্তীতে জানাজানি করবে। আর এখন তাকে বিয়ে করে কিভাবে খাওয়াবে? কোথায় রাখবে? এসব চিন্তাও মাহিনকে করতে হবে না। কেননা মৌ এটাও জানিয়েছে যে যতদিন মাহিন কিছু না করছে ততোদিন তার ভরনপোষনও দিতে হবে না। ততোদিন সে তার বাবা মায়ের কাছেই থাকবে।কিন্তু এতেও মাহিন রাজি নয়। এর দ্বারা কি বুঝায়? মাহিন কী সত্যিই মৌকে ভালোবাসে ? নাকি শুধু মৌ-ই মাহিনকে ভালোবেসে যাচ্ছে এবং নিজের সর্বত্র দিয়ে মাহিনকে পেতে চাচ্ছে? সেটা সময়ই বলে দিবে।
মাহিন মৌকে যতই অবহেলা করুক না কেনো মৌ ঠিকই মাহিনকে সবসময় একইরকমভাবে ভালোবেসে যাচ্ছে। মৌ চায় মাহিনকে নিজের করে পেতে।তাই মাহিন যেটা বলে সেটাই মেনে নেয় মৌ।মাহিন বলছে কিছু একটা করা পর্যন্ত অপেক্ষা করো তারপর বিয়ে করবো।মৌ এখন তার ভালোবাসার সম্পর্কটা ভাগ্যের উপর ছেঁড়ে দিয়েছে। এদিকে মাহিনের একজন কাছের বন্ধু (যার নাম আগেও বলা হয়েছে) মাহফুজ প্রায় সময়ই মাহিনকে বুঝিয়ে বলে- দেখেন মৌ অনেক ভালো মেয়ে। সে আপনাকে অনেক ভালোবাসে। এমন মেয়ে বর্তমানে খুঁজে পাওয়া অনেক কষ্টের।তাই আপনার উচিত তাকে বিয়ে করা। কিন্তু মাহফুজের কোনো কথায়ই সে কান দেয় না। তার একটাই কথা আগে চাকরি তারপর বিয়ে। তখন মাহফুজ বলে কেনো ভাই যারা চাকরি করে না তারা কি বিয়ে করে না?। দেখা গেলো বিয়ের পর আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো চাকুরী পাওয়া যায় এমন অনেক উদাহরণ আছে।মাহফুজ আরো বলে ভালোবাসার মানুষটিকে সুখে রাখার জন্য হাজার হাজার টাকার প্রয়োজন নেই একটু ভালোবাসাই যথেষ্ট। কার কথা কে শুনে সে নিজের কথার উপরই বহাল।একটা সময় মাহফুজ ভাবতো সে মাহিনের খুব ভালো বন্ধু তার কোনো কথা মাহিন ফেলতে পারবেনা। কিন্তু মাহফুজের সে ধারণা ভুল ছিলো।
যাহোক এরই মধ্যে বাসায় মৌর বাবা - মা সবাই মৌকে চাপ দিচ্ছে বিয়ের জন্য। এতে মৌর সাথে তার পরিবারের লোকদের সাথে অনেক তর্কাতর্কি হয়।এক পর্যায়ে সে তার পরিবারকে মাহিনের সাথে তার সম্পর্কের কথা বলে দেয়।তবে একটি মিথ্যা কথা বলে যে - মাহিনের সাথে তার বিয়ে হয়ে গেছে।সুতরাং তাকে যেনো আর বিয়ের জন্য চাপাচাপি না করে। এখন মাহিন যদি মৌকে বিয়ে না করে তাহলে সে কিভাবে তার বাবা- মাকে মুখ দেখাবে?। এখন খুবই বাজে সময় পার করতেছে মৌ। মৌ সারাদিন চিন্তামগ্ন হয়ে বসে থাকে।ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া নেই।রাতে চোখে ঘুম নেই।আর ঐদিকে মাহিন খুব সুন্দর জীবন কাটাচ্ছে।যত কষ্ট সেটা এখন মৌর-ই হচ্ছে।কারন মৌ মাহিনকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসে।সে মাহিনকে হারাতে চায় না।তবে একটা সত্যি কথা বলতে কি মৌর মতো মেয়ে বর্তমানে পাওয়া খুবই মুশকিল কিন্তু মাহিন সেটা বুঝে না। মৌ এখন কিছুটা হলেও বুঝতে পারছে যে এখন যদি তার কিছু হয়ে যায় তাহলে মাহিনের কোনো কষ্ট লাগবে না। কেননা মাহিন কখনোই তাকে সত্যিকারের ভালো বাসতে পারেনি।যদি সে তাকে সত্যিকারের ভালোবাসতো তাহলে তাকে কখনোই কষ্ট দিতে পারতো না। বর্তমানে মাহিন, মৌর তেমন কোনো খোঁজ খবর নেয় না। খুব একটা কথাও হয় না তাদের মধ্যে।অথচ মৌ সারাক্ষণ মাহিনের সাথে কথা বলতে আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে।কিন্তু সে এখন ফোনেও ঠিকমতো মাহিনকে পায় না।
আমরা এমনই পাওয়া জিনিসের মূল্য দিতে জানিনা। তবে হারিয়ে গেলে ঠিকই আফসোস করতে জানি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মন থেকে চেয়েও অনেক কিছু পায় না আবার এমন অনেকেই আছে যারা পেয়েও সে জিনিসটার মূল্য দিতে জানেনা। যাহোক আমরা চাই ভালোবাসার জয় হোক। মাহিনের উচিত তার প্রতি মৌর যে অগাধ ভালোবাসা সেটাকে সম্মান জানানো। একটা মেয়ে তাকে এতোটা ভালোবাসে তারও উচিত তাকে তার যোগ্য ভালোবাসাটা দেয়া। জানিনা শেষ পর্যন্ত তাদের ভালোবাসার পরিণতি কি হয়।তবে একটাই চাওয়া মাহিন যেনো মৌর ভালোবাসার প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয় এবং তাকে নিজের করে নেয়। কেননা মৌর মতো মেয়ে পাওয়াটা তার জন্য হবে খুবই সৌভাগ্যের ব্যাপার। মৌর মতো এমন করে আর কোনো মেয়েই তাকে ভালোবাসতে পারবে না সেটা নিশ্চিত ।তবে আশা করি সত্যিকারের ভালোবাসারই জয় হবে।একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে একটাই চাওয়া সব সমস্যার সমাধান হয়ে খুব দ্রুতই যেনো তাদের মধ্যে একটি বৈবাহিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয় ।যাতে মৌ তার প্রিয়তমকে সারা জীবনের জন্য নিজের করে পায় এবং সত্যিকারের ভালোবাসার জয় হয়।
******সমাপ্ত******
মেয়েদের বিয়ের বয়স হলে সব বাবা মা-ই চায় ভালো একটি ছেলে দেখে তাদের মেয়েটিকে বিয়ে দিতে।মৌর বেলায়ও ব্যতিক্রম না।কিন্তু সে মাহিনকে ছাড়া কিছুই বুঝে না।সে শুধু মাহিনেরই হতে চায়।সে মাহিনকে বিয়ের কথা বললে মাহিনের একটাই কথা-একটা চাকুরী না হতে তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব না। কিন্তু সে বুঝতে চায় না যে একটা মেয়ের উপযুক্ত সময় হলে তার পক্ষে বিয়ে না করে থাকাটা অনেক প্যারার। কেননা বাসায় বাবা মা একের পর এক বিয়ের জন্য চাপ দিতেই থাকে। কতোবার সামাল দেয়া যায়। মাহিন চাকুরী ছাড়া কিছুই বুঝে না। সে আগে চাকুরী করবে তারপর বিয়ে করবে। অথচ মৌ এতেও রাজি যে এখন গোপনে বিয়েটা করে রাখুক চাকুরী হলে না হয় পরবর্তীতে জানাজানি করবে। আর এখন তাকে বিয়ে করে কিভাবে খাওয়াবে? কোথায় রাখবে? এসব চিন্তাও মাহিনকে করতে হবে না। কেননা মৌ এটাও জানিয়েছে যে যতদিন মাহিন কিছু না করছে ততোদিন তার ভরনপোষনও দিতে হবে না। ততোদিন সে তার বাবা মায়ের কাছেই থাকবে।কিন্তু এতেও মাহিন রাজি নয়। এর দ্বারা কি বুঝায়? মাহিন কী সত্যিই মৌকে ভালোবাসে ? নাকি শুধু মৌ-ই মাহিনকে ভালোবেসে যাচ্ছে এবং নিজের সর্বত্র দিয়ে মাহিনকে পেতে চাচ্ছে? সেটা সময়ই বলে দিবে।
মাহিন মৌকে যতই অবহেলা করুক না কেনো মৌ ঠিকই মাহিনকে সবসময় একইরকমভাবে ভালোবেসে যাচ্ছে। মৌ চায় মাহিনকে নিজের করে পেতে।তাই মাহিন যেটা বলে সেটাই মেনে নেয় মৌ।মাহিন বলছে কিছু একটা করা পর্যন্ত অপেক্ষা করো তারপর বিয়ে করবো।মৌ এখন তার ভালোবাসার সম্পর্কটা ভাগ্যের উপর ছেঁড়ে দিয়েছে। এদিকে মাহিনের একজন কাছের বন্ধু (যার নাম আগেও বলা হয়েছে) মাহফুজ প্রায় সময়ই মাহিনকে বুঝিয়ে বলে- দেখেন মৌ অনেক ভালো মেয়ে। সে আপনাকে অনেক ভালোবাসে। এমন মেয়ে বর্তমানে খুঁজে পাওয়া অনেক কষ্টের।তাই আপনার উচিত তাকে বিয়ে করা। কিন্তু মাহফুজের কোনো কথায়ই সে কান দেয় না। তার একটাই কথা আগে চাকরি তারপর বিয়ে। তখন মাহফুজ বলে কেনো ভাই যারা চাকরি করে না তারা কি বিয়ে করে না?। দেখা গেলো বিয়ের পর আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো চাকুরী পাওয়া যায় এমন অনেক উদাহরণ আছে।মাহফুজ আরো বলে ভালোবাসার মানুষটিকে সুখে রাখার জন্য হাজার হাজার টাকার প্রয়োজন নেই একটু ভালোবাসাই যথেষ্ট। কার কথা কে শুনে সে নিজের কথার উপরই বহাল।একটা সময় মাহফুজ ভাবতো সে মাহিনের খুব ভালো বন্ধু তার কোনো কথা মাহিন ফেলতে পারবেনা। কিন্তু মাহফুজের সে ধারণা ভুল ছিলো।
যাহোক এরই মধ্যে বাসায় মৌর বাবা - মা সবাই মৌকে চাপ দিচ্ছে বিয়ের জন্য। এতে মৌর সাথে তার পরিবারের লোকদের সাথে অনেক তর্কাতর্কি হয়।এক পর্যায়ে সে তার পরিবারকে মাহিনের সাথে তার সম্পর্কের কথা বলে দেয়।তবে একটি মিথ্যা কথা বলে যে - মাহিনের সাথে তার বিয়ে হয়ে গেছে।সুতরাং তাকে যেনো আর বিয়ের জন্য চাপাচাপি না করে। এখন মাহিন যদি মৌকে বিয়ে না করে তাহলে সে কিভাবে তার বাবা- মাকে মুখ দেখাবে?। এখন খুবই বাজে সময় পার করতেছে মৌ। মৌ সারাদিন চিন্তামগ্ন হয়ে বসে থাকে।ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া নেই।রাতে চোখে ঘুম নেই।আর ঐদিকে মাহিন খুব সুন্দর জীবন কাটাচ্ছে।যত কষ্ট সেটা এখন মৌর-ই হচ্ছে।কারন মৌ মাহিনকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসে।সে মাহিনকে হারাতে চায় না।তবে একটা সত্যি কথা বলতে কি মৌর মতো মেয়ে বর্তমানে পাওয়া খুবই মুশকিল কিন্তু মাহিন সেটা বুঝে না। মৌ এখন কিছুটা হলেও বুঝতে পারছে যে এখন যদি তার কিছু হয়ে যায় তাহলে মাহিনের কোনো কষ্ট লাগবে না। কেননা মাহিন কখনোই তাকে সত্যিকারের ভালো বাসতে পারেনি।যদি সে তাকে সত্যিকারের ভালোবাসতো তাহলে তাকে কখনোই কষ্ট দিতে পারতো না। বর্তমানে মাহিন, মৌর তেমন কোনো খোঁজ খবর নেয় না। খুব একটা কথাও হয় না তাদের মধ্যে।অথচ মৌ সারাক্ষণ মাহিনের সাথে কথা বলতে আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে।কিন্তু সে এখন ফোনেও ঠিকমতো মাহিনকে পায় না।
আমরা এমনই পাওয়া জিনিসের মূল্য দিতে জানিনা। তবে হারিয়ে গেলে ঠিকই আফসোস করতে জানি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মন থেকে চেয়েও অনেক কিছু পায় না আবার এমন অনেকেই আছে যারা পেয়েও সে জিনিসটার মূল্য দিতে জানেনা। যাহোক আমরা চাই ভালোবাসার জয় হোক। মাহিনের উচিত তার প্রতি মৌর যে অগাধ ভালোবাসা সেটাকে সম্মান জানানো। একটা মেয়ে তাকে এতোটা ভালোবাসে তারও উচিত তাকে তার যোগ্য ভালোবাসাটা দেয়া। জানিনা শেষ পর্যন্ত তাদের ভালোবাসার পরিণতি কি হয়।তবে একটাই চাওয়া মাহিন যেনো মৌর ভালোবাসার প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয় এবং তাকে নিজের করে নেয়। কেননা মৌর মতো মেয়ে পাওয়াটা তার জন্য হবে খুবই সৌভাগ্যের ব্যাপার। মৌর মতো এমন করে আর কোনো মেয়েই তাকে ভালোবাসতে পারবে না সেটা নিশ্চিত ।তবে আশা করি সত্যিকারের ভালোবাসারই জয় হবে।একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে একটাই চাওয়া সব সমস্যার সমাধান হয়ে খুব দ্রুতই যেনো তাদের মধ্যে একটি বৈবাহিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয় ।যাতে মৌ তার প্রিয়তমকে সারা জীবনের জন্য নিজের করে পায় এবং সত্যিকারের ভালোবাসার জয় হয়।
******সমাপ্ত******
Comments
Post a Comment