হারতে হারতে শেষ মুহুর্তের নাটকীয়তায় আতালান্টাকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন লীগের সেমি ফাইনালে উঠে গেলো পিএসজি।টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটিতে ভয় ছিলো পিএসজির ছিটকে যাওয়া নিয়ে।তবে সব বাঁধা অতিক্রম করে ১৯৯৫ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন লীগের সেমিতে উঠল পিএসজি।
শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ফুলবল খেলা শুরু করে আতালান্টা।প্রথমার্ধের দ্বিতীয় মিনিটের সুযোগ আসে আতালান্টার সামনে তবে প্রতিপক্ষের সট ঝাঁপিয়ে পড়ে সেবারের মতো দলকে বাঁচান নাভাস।তবে ম্যাচের ৩ মিনিটের সময় প্রথম সুবর্ণ সুযোগটি আসে নেইমারের সামনে মাঝমাঠ থেকে বল পায়ে আতালান্টার বক্সে ঢুকে পড়েন নেইমার সামনে ছিলো শুধু আতালান্টা গোলকিপার। কিন্তু নেইমার লক্ষ্যভ্রষ্ট সট নেন। দলের সেরা খেলোয়াড়ের এমন সহজ সুযোগ নষ্ট করা দেখে কোচসহ ডাগআউটে বসা খেলোয়াড়দের মাথায় হাত। খেলার ধারার বিপরীতে ২৬ তম মিনিটে এগিয়ে যায় আতালান্টা। পিএসজি ডিবক্সের মধ্যে বল পেয়ে কোনাকোনি সটে গোলটি করেন পাসালিচ।
গোল খাওয়ার পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি কিন্তু নেইমারের লক্ষ্যভ্রষ্ট সটের কারনে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পিএসজি।দ্বিতীয়ার্ধেও পিএসজি গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মিলছিলো না।আক্রমনের ধার আরো বাড়াতে ৬০ তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নামান পিএসজি কোচ।কিলিয়ান মাঠে আসার পর পিএসজি একের পর আক্রমন করতে থাকে। কিন্তু নেইমার, এমবাপ্পের একের পর এক সট ঠেকিয়ে দেন আতালান্টা গোলকিপার।এমনিতেই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি হেরে যাওয়ার ভয় তার উপর খেলার ৭৮ তম মিনিটে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন পিএসজি গোল কিপার কেইলর নাভাস।
খেলায় টান টান উত্তেজনা খেলার ৮৯ মিনিট শেষ। তার মানে কি আবারও ছিটকে যেতে হবে পিএসজিকে ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতা থেকে।তবে পিএসজি যেনো সব উত্তেজনা জমিয়ে রেখেছিলো শেষ সময়ের জন্য।খেলার ৯০ মিনিট চলছে ডিবক্সে বল পায়ে নেইমার সট নিলেন কিন্তু ঠিক মতো হলো না বল পেয়ে যান স্বদেশী মার্কুইনেস এবং গোল।আনন্দে ফেঁটে পড়ে কোচসহ খেলোড়াররা।সমতা ফেরানোর পর যেনো প্রাণ ফিরে পায় পিএসজি। আর যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আতালান্তার হৃদয় ভেঙে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান ১৩ মিনিট আগে ইকার্দির বদলি নামা চুপো-মোটিং।যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটের সময় নেইমারের ডিফেন্স ছেঁড়া পাস পেয়ে সামনে বাড়ান এমবাপ্পে এবং চুপো মোটিং স্লাইড করে বল জালে পাঠিয়ে দেন।আনন্দে মেতে ওঠে পিএসজি শিবির।হেরে যাওয়ার ভয় অথচ সেখান থেকে অসাধারণ কামব্যাকে আতালান্টাকে হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছে যায় পিএসজি।ম্যাচে গোলের সবর্ণ সুযোগ মিস করলেও সর্বোচ্চ রেটিং( 9.3) নিয়ে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন নেইমার। দুই দলের খেলোয়াড়রাই ছিলেন আক্রমণাত্মক ফলে আতালান্টার ৬ জন এবং পিএসজির ৩ জনকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়।
ফাইনালে উঠার লক্ষ্যে আতলেটিকো মাদ্রিদ এবং লাইপজিগের মধ্য বিজয়ী দলের বিপক্ষে খেলবে পিএসজি।
x-)
ReplyDelete