খেলার শুরু থেকেই বার্সেলোনাকে চেপে ধরে বায়ার্ন।তাদের গতি এবং স্কিলের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়ে বার্সেলোনা।দুই অর্ধেই চারটি করে গোল হজম করতে হয় বার্সাকে।
প্রথমার্ধের চতুর্থ মিনিটেই মুলারের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। লেভানদোস্কি থেকে বল পেয়ে পা পায়ের শটে বল জালে জড়ান এই জার্মান খেলোয়াড়।গোল খেয়ে বার্সা কিছুটা জেগে উঠে এবং প্রতিপক্ষের ভুলে সপ্তম মিনিটেই সমতায় ফিরে বার্সেলোনা।বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টা নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন দাভিদ আলবা।এরপর মেসি সুয়ারেজের কয়েকটি প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেন বায়ার্ন গোল কিপার ম্যানুয়াল নয়ার।খেলার ধারার বিপরীতে ২১ তম মিনিটে আবারো এগিয়ে যায় বায়ার্ন। জিনাব্রির কাছ থেকে বল পেয়ে বুলেট গতির শটে স্টেগেনকে পরাজিত করেন পেরেসিচ। ২৭তম মিনিটে স্কোর সীটে নাম উঠান জিনাব্রি। এরপর সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিরতির আগে ৩১ তম মিনিটে কিমিচের কাছ থেকে বল পেয়ে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোলটি করেন মুলার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও বায়ার্ন বার্সাকে আক্রমনে ব্যস্ত রাখে। তবে ৫৭ তম মিনিটে ব্যবধান কমান সুয়ারেজ।জর্দি আলবার কাছ থেকে বল পেয়ে নিচু শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন সুয়ারেজ।এর কিছুক্ষণ পর কিমিচের গোলে ৫-২ গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন।বায়ার্নের আক্রমনের সামনে কাল বার্সাকে খুবই অসহায় মনে হচ্ছিলো।বায়ার্ন চাইলেই যেনো বার্সাকে গোল দিতে পারতো।দলের গোল সংখ্যা ৫ টি হলেও তখনো একজনের গোল পাওয়াটা বাকি ছিলো। ৮২ তম মিনিটে সে অপেক্ষা শেষ হয় কৌতিনিয়োর ক্রসে হেডে বল জালে পাঠিয়ে প্রতিযোগিতায় নিজের চতুর্দশ তম গোলটি করেন রবের্ত লেভানদোস্কি। ৬-২ গোলে এগিয়ে বায়ার্ন কিন্তু তখনো তাদের গোল বন্যা থামেনি। ৮৫ এবং ৮৯ তম মিনিটে নিজের দলের বিরুদ্ধেই দুটি গোল করেন কৌতিনিয়ো।উল্লেখ্য কৌতিনিয়ো বার্সেলোনা থেকে লোনে জার্মান দলটিতে খেলেন।সাবেক দলটির বিপক্ষে গোল করে উৎযাপন করেননি কৌতিনিয়ো।
খানিক পর রেফারি খেলার শেষ বাঁশি বাজালে যেনো স্বস্তি ফিরে পায় বার্সেলোনা।এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে কে-ই বা পড়তে চায়। খালি হাতেই চ্যাম্পিয়ন লীগ যাত্রা থেমে গেলো বার্সেলোনার।এবং দাপুটে জয়ে সেমিতে পৌঁছে যায় বায়ার্ন। আজ রাতে ম্যানচেস্টার সিটি ও অলিম্পিক লিঁওর মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষে সেমিতে লড়বে বায়ার্ন।
Comments
Post a Comment