চ্যাম্পিয়ন লীগের সেমি ফাইনালের ম্যাচে জার্মান ক্লাব লাইপজিগকে ৩-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে প্রথম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন লীগের ফাইনালে উঠলো পিএসজি। পিএসজির জয়ে গোল তিনটি করেন - মার্কুইনেস, ডি মারিয়া এবং হুয়ান বের্নাট।কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ মুহুর্তে সমতাসূচক গোলটিও করেছিলেন মার্কুইনেস। সেমি ফাইনালেও তার গোলেই এগিয়ে যায় পিএসজি।
খেলা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচের শুরুর মতোই অসাধারণ একটি সুযোগ পান নেইমার।তার সামনে শুধুমাত্র গোলরক্ষক ছিলো কিন্তু তাকে ফাঁকি দিলেও বল ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।তবে লাইপজিগ ও আক্রমনে উঠতে সময় নেয়নি। তারাও সমান তালে লড়ে যেতে থাকে।তবে প্রথমার্ধের ১৩তম মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। ডি মারিয়ার ফ্রি কিক থেকে পাওয়া বল লাফিয়ে হেডে জালে পাঠান ব্রাজিলীয়ান ডিফেন্ডার মার্কুইনেস। গোল খেয়ে লাইপজিগ আরো আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় তারা গোলের তেমন সুযোগ তৈরী করতে পারেনি।প্রথমার্ধের ৪২তম মিনিটেই ২-০ তে এগিয়ে যায় পিএসজি ডি বক্সের মধ্যে নেইমারের আলতো পায়ের ছোঁয়ায় বল পেয়ে যান ডি মারিয়া। বল জালে পাঠাতে কোনো সমস্যা হয়নি তার।২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পিএসজিকে চেপে ধরে লাইপজিগ। তবে খেলার ধারার বিপরীতে ৫৬ তম মিনিটে আবারো তারা পিছিয়ে পড়ে। দলের তৃতীয় গোলটি আসে বের্নাট এর মাথা থেকে।ডি মারিয়ার ক্রসে হেডে বল জালে জড়ান বের্নাট । কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও ছন্দে ছিলেন নেইমার তবে ম্যাচে গোলের কয়েকটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন। নেইমার - এম্বাপ্পের অনেকগুলো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।খেলার বাকিটা সময় দুই দলই আক্রমন পাল্টা আক্রমন চালিয়ে গেলেও কোনো দলই আর গোলের দেখা পায়নি।
শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথে আনন্দে মেতে উঠে কোচসহ পিএসজির খেলোয়াড়রা।প্রথমবারের মতো স্বপ্নের ফাইনালে উঠে গেলো পিএসজি।আজ রাতে বায়ার্ন এবং লিঁওর মধ্যকার ম্যাচে জয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনালে লড়বে পিএসজি।
Comments
Post a Comment