নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনাল খেলেও জেতা হলো না পিএসজির।ইতিহাস গড়ার লক্ষ্য নিয়েই পর্তুগালের লিসবনে মাঠে নেমেছিলো পিএসজি।কিন্তু তা আর হলো না কোম্যানের একমাত্র গোলে পিএসজিকে হারিয়ে ষষ্ঠ বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লীগ ট্রফি উঁচিয়ে ধরল বায়ার্ন মিউনিখ।
মঞ্চ তৈরী ছিলো পিএসজির ইতিহাস তৈরী করার।তবে ভাগ্য সহায় ছিলো না পিএসজির তাই তো ফাইনালের মতো ম্যাচে তাদের আসলরূপ দেখা গেলো না।ম্যাচে বায়ার্নের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে ছিলো পিএসজি। ভুল পাস আর ফিনিশিংয়ে ব্যর্থতা বার বারই লক্ষ্য করা গেছে ।বায়ার্ন আক্রমনে এগিয়ে থাকলেও দু'দলই অসংখ্য আক্রমন করে তবে ফিনিশিংয়ে কেউই ভালো করতে পারেনি।নেইমার - এম্বাপ্পে কয়েকটি ভালো আক্রমন করলেও বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করতে পারেননি।
আক্রমন পাল্টা আক্রমনে খেলা চলতে থাকে। কিন্তু ৫৯ তম মিনিটে কিমিচের কাছ থেকে বল পেয়ে হেডে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন কোম্যান। এই গোলই পরবর্তীতে ফল নির্ধারক হয়।পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে সাত বছর পর আবার চ্যাম্পিয়নস লীগ ফিরে পেলো বায়ার্ন।শেষ বাঁশি বাঁজার পর আনন্দে ফেঁটে পড়ে বায়ার্ন মিউনিখ দল। অন্যদিকে স্বপ্নের ফাইনাল থেকে খালি হাতে ফেরা পিএসজির খেলোয়াড়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। অনেক স্বপ্ন নিয়েই পর্তুগালের লিসবনে এসেছিলো নেইমাররা।স্বপ্ন ছিলো চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতে ইতিহাস রচনা করবে।তবে সেটা আর করা হলো না নেইমারদের। চ্যাম্পিয়নস লীগ জয়ের খুব কাছে এসেও সেটা জিততে না পারায় নেইমাররা অনেক হতাশ।যেটা ম্যাচের পর তাদের চোখে মুখে ফুঁটে উঠেছে।
Comments
Post a Comment