নামায হলো নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট নিয়মে এবং নির্দিষ্ট কিছু কার্যাবলীর মাধ্যমে আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্যে রূকু -সিজদা করা।নামায হলো মুসলমানদের প্রধান পরিচয়।কেননা যে নামায পড়ে সে মুসলমান আর যে নামায পড়ে না সে কাফের।রাসূল( স) বলেছেন "মুমিন এবং কাফেরের মধ্যে পার্থক্য হলো নামায"।
নামায হলো এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তায়ালার খুবই নিকটবর্তী হয়ে যায়।কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- " নামায হলো মুমিনদের জন্য মি'রাজ "। নামায আদায়ের মাধ্যমে একজন মানুষ আল্লাহর নিকটবর্তী হয়ে যান।তবে এ নামায অবশ্যই পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন থেকে বিশুদ্ধভাবে আদায় করতে হবে।নামায কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে পবিত্রতা।পবিত্রতা অর্জন ব্যতীত নামায আদায় হবে না।আর পবিত্রতা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হলো ওযু। কাজেই ভালোভাবে ওযু করে তারপর নামায আদায় করতে হবে।
শুধু রূকু সিজদা দেয়ার নামই নামায নয়।নামাযের ভিতরে এবং বাহিরে কতিপয় কাজ রয়েছে যেগুলোকে আরকান আহকাম বলা হয়।সেগুলোকে যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে নামায আদায় করতে হবে।নামায পড়তে হবে ধীরে সুস্থে তারতীল সহকারে।কেননা নামায শুদ্ধ না হলে আল্লাহর দরবারে তা কবুল হয় না। আর নামায কবুল না হলে জান্নাতে যাওয়াও সম্ভব না।কেননা রাসূল (স) বলেছেন-"নামায হলো বেহেশতের চাবি"।জান্নাতে যেতে হলে অবশ্যই নামায লাগবে কেননা নামায না থাকলে জান্নাতের তালা খোলা যাবে না।তাছাড়া কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের থেকে সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব নিবেন।
নামায এমন একটা ইবাদত যেটা মানুষকে অন্যায় এবং অশ্লীল কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে।যিনি নামায পড়েন তিনি কখনোই কোনো খারাপ কাজ করতে পারেননা।কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন -"নিশ্চয়ই নামায অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে"।যে ব্যক্তি নিয়মিত নামায আদায় করেন তার দ্বারা কখনোই কোনো খারাপ কাজ সংঘটিত হতে পারে না। যদি কেউ নামাযও পড়ে আবার খারাপ কাজও করে তাহলে বুঝতে হবে তার নামায আল্লাহর দরবারে কবুল হচ্ছে না। যদি হতো তাহলে তার দ্বারা কখনোই কোনো খারাপ কাজ সংঘটিত হতো না।আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স) নামাযের প্রতি অত্যধিক গুরুত্ব দিয়েছে।তিনি মৃত্যুর সময়ও বলেছেন - " নামায! নামায! ও আমার উম্মতেরা তোমরা নামায ছেঁড়ে দিও না"।
ইসলামে নামাযের গুরুত্ব অনেক।নামায বিনা কেয়ামতের দিন কঠিন আযাব থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই।নামায না পড়লে মৃত্যুর পর জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে যেটা ভোগ করার মতো ক্ষমতা পৃথিবীর কারো নেই।তবে নামায পড়লে আল্লাহ তায়ালা মৃত্যুর পর আমাদেরকে পুরস্কারস্বরূপ চিরশান্তির জায়গা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যেখানে আমরা অনন্তকালের জন্য সুখের সাগরে নিমজ্জিত থাকবো।কাজেই আমাদের উচিত আল্লাহকে ভয় করা এবং তাঁকে খুশি করার জন্য নিয়মিত ওয়াক্ত মতো নামায আদায় করা।
Comments
Post a Comment