আল কুরআন হচ্ছে এমন একটা কিতাব যেটা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর উপর অবতীর্ণ করা হয়।পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ১১৪ টি সূরা রয়েছে।পুরো কুরআনকে ৩০ পারায় বিভক্ত করা হয়েছে।পবিত্র কুরআনে ১৪ টি সিজদা ৫৪০ টি রূকু এবং ৬২৩৬ টি আয়াত রয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করলে সম্পূর্ণ কুরআন মাজীদ একসাথে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর উপর নাযিল করতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেন নি।আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির জন্য যখন যতটুকু প্রয়োজন এবং যখন যেটা প্রয়োজন তার পরিপ্রেক্ষিতে ধীরে ধীরে সুদীর্ঘ ২৩ বছর ধরে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ করেন।মানবসৃষ্ট এমন কোনো সমস্যা নাই যার সমাধান কুরআনে নেই।কুরআন হলো মুসলমানদের সংবিধান। রাষ্ট্র যেমন সংবিধান মোতাবেক পরিচাতিল হয় তেমনি একজন প্রকৃত ঈমানদার মুসলমান তার জীবন পবিত্র কুরআন মোতাবেক পরিচালনা করেন।
পবিত্র কুরআন এমন একটি গ্রন্থ যেখানে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।কেননা মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন "কুরআন এমন একটি কিতাব যার মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই"।একজন মানুষ কিভাবে তার জীবন পরিচালনা করবে,কিভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে সবকিছুই কুরআনে দেয়া আছে।সামাজিক,রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ যাবতীয় কার্যাবলি কিভাবে পরিচালিত হবে তার সুস্পষ্ট বিবরণ মহাগ্রন্থ আল কুরআনে রয়েছে।
কুরআন এমন একটি গ্রন্থ এর সংস্পর্শে যারাই এসেছে মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিয়েছেন।যারাই কুরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করবে দুনিয়া এবং আখেরাত উভয় জায়গায়ই তাঁরা সম্মানিত হবে।
তাই আসুন আমরা সবাই কুরআন পড়ি, কুরআন বুঝি, আল কুরআনের জীবন গড়ি।
Great
ReplyDelete